ডেস্কনিউজঃ গায়ে হলুদের দিন বাইকে চড়ে পুরো এলাকা মাতানো ভাইরাল হওয়া সেই নববধূ ফারহানা আফরোজকে মোটরসাইকেল উপহার দিচ্ছেন শ্বশুর।
এই প্রসঙ্গে ফারহানার শ্বশুর জানান, গায়ে হলুদের ছবি ভাইরাল হওয়া এবং নানা বিরূপ মন্তব্য তার জীবনে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
প্রসঙ্গত, ১৪ আগস্ট পাবনার কাশিনাথপুরের বাসিন্দা ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হাসনাইন রাফির সঙ্গে যশোর শহরের সার্কিট হাউজ এলাকার মেয়ে ফারহানা আফরোজের বিয়ে হয়। এর আগের দিন ১৩ আগস্ট ছিল ফারহানার গায়ে হলুদ।
ওই দিনে শহরজুড়ে বন্ধু-বান্ধব ও সাথীদের নিয়ে বাইক র্যালি করেন কনে ফারহানা। ওই শোভাযাত্রার ছবি, তোলার কাজে নিযুক্ত ফটোগ্রাফার তার অনুমতি নিয়েই ফেসবুকে দেন। এরপর ব্যতিক্রমী এ আয়োজনের ছবি ভাইরাল হয়।
ফারহানা আফরোজ বলেন, সবাই নেচে-গেয়ে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান উদযাপন করেছি। আমি যেহেতু বাইক চালাতে পারি তাই বাইক চালিয়ে অনুষ্ঠান করেছি। ব্যতিক্রমী কিছু করার ভাবনা থেকেই এমন আয়োজন। এটি আমার নিজস্ব উদ্যোগে করেছি। অনেক আনন্দ করেছি বন্ধু-বান্ধব ও সাথীদের নিয়ে।
তিনি আরো বলেন, ২০০৭ সাল থেকে বাইক চালাই। মূলত বাড়িতে সাইকেল ও প্রাইভেটকার চালানো শেখা হয় ছোটবেলাতেই। বাবার মোটরসাইকেলটিও চালানোর একটা ঝোঁক ছিল। তাই বাবার অজান্তেই কোন প্রশিক্ষক ছাড়াই মোটরসাইকেল চালানো শিখি।
এদিকে ২০১৩ সালে ঢাকায় আসার পর বন্ধুদের বাইকে হাত পাকাই ফারহানা। এরপর নিজেই স্কুটি কিনেন। ওই স্কুটিতেই বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা করতেন তিনি।
ফারহানা বলেন, বাইক র্যালির ছবি ফেসবুকে আসার পর শ্বশুড়বাড়ির লোকজন তা স্বাভাবিকভাবেই মেনে নিয়েছেন। তারা আমার বাইক চালানোর বিষয়টি আগে থেকেই জানতেন। ফলে তারা ছবি ও ভিডিও দেখে বেশ আনন্দিত হয়েছেন।
কিন্তু নেটিজেনরা বিষয়টিকে ভালোভাবে নিতে পারছে না। তারা আমার চারিত্রিক সনদ দিচ্ছেন। এটা আমি মানতে পারছি না।